পূর্বাভাস
হস্তিনাপুরের রাজা শান্তনু গঙ্গাদেবীকে বিবাহ করেন। তাঁদের অষ্টম সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠটি প্রাণে রক্ষা পায়। এর নাম রাখা হয় দেবব্রত। দিনে দিনে দেবব্রত যোগ্য যুবরাজ হয়ে উঠলেন। এ-সময় শান্তনু সত্যবতী নামে এক ধীবরকন্যার প্রেমে পড়লেন। সত্যবতীর পুত্র রাজা হবে এই শর্তে কেবল সত্যবতীর পিতা কন্যার বিবাহদানে সম্মত। দেবব্রতকে কিভাবে রাজ্য বঞ্চিত করবেন, এই ভেবে শান্তনু এ প্রস্তাবে রাজি হলেন না। দেবব্রত বিষয়টি জানতে পেরে ধীবর রাজপুরীতে উপস্থিত হয়ে জীবনে বিবাহ করবেন না, এই ভীষণ প্রতিজ্ঞা করে সত্যবতীকে হস্তিনাপুরে নিয়ে এসে পিতার সঙ্গে বিবাহ দিলেন। আমৃত্যু কৌমার্য ধারণের এই ভীষণ প্রতিজ্ঞার জন্য তাঁর নাম হল ভীষ্ম। শান্তনু পুত্রের ওপর খুব খুশি হলেন এবং মৃত্যুক্ষণ নিজে নির্ধারণ করতে পারবে বলে পুত্রকে বরদান করলেন।
যথাকালে সত্যবতী ও শান্তনুর দুই পুত্র জন্মাল। শান্তনুর যথেষ্ট বয়স হয়েছিল- কিছুদিন পর তিনি দেহ রাখলেন। রাজপুত্ররা নাবালক, কাজেই সত্যবতীর সঙ্গে পরমর্শক্রমে ভীষ্ম রাজ্যপাট দেখাশুনো করতে লাগলেন।
ক্রমে পুত্ররা যৌবনে পদার্পণ করল। জ্যেষ্ঠভ্রাতা গন্ধর্বদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে প্রাণ হারালে কনিষ্ঠ বিচিত্রবীর্য সিংহাসনে বসলেন। বিচিত্রবীর্যের সঙ্গে বিবাহের উদ্দেশ্যে ভীষ্ম প্রতিবেশী রাজ্য থেকে তিন রাজকন্যাকে অপহরণ করে হস্তিনাপুরে নিয়ে এলেন। জ্যেষ্ঠ কন্যাটি অন্যকে ভালবাসেন জানালে তাঁকে দয়িতের কাছে ফিরে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তী দুই কন্যার সঙ্গে বিচিত্রবীর্যের পরিণয় সম্পন্ন হল। কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য, কিছুদিন পরে নিঃসন্তান অবস্থায় বিচিত্রবীর্য মৃত্যুবরণ করলেন।
ধৃতরাষ্ট্র, পান্ডু ও বিদুর
পারিবারিক ক্রম বজায় রাখতে সিংহাসনের উত্তরাধিকার রক্ষার জন্যে সত্যবতী রাজবধুদের গর্ভে সন্তান উৎপাদন বাসনায় তাঁর পুত্র ব্যাসকে ডেকে পাঠালেন। শান্তনুর সঙ্গে বিবাহের আগে কুমারী সত্যবতীর সঙ্গে মহাঋষি পরাশরের মিলনে ব্যাসের জন্ম। তখনকার দিনে কুমারীমাতার সন্তান বিবাহ-পরবর্তী স্বামীর সৎসন্তান হিসেবে গৃহীত হত। সেভাবে ব্যাস শান্তনুর পুত্র। কুরুবংশ রক্ষার এবং হস্তিনাপুর সিংহাসনের উত্তরাধিকার ধারাক্রম বজায় রাখতে নিয়োগ প্রথায় ব্যাস দুই রানীর গর্ভে দু’টি পুত্র উৎপাদন করলেন। বড়রানীর গর্ভে জন্মালেন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র আর ছোট রানীর গর্ভে জন্মালেন স্বাস্থ্যবান কিন্তু অতিশয় পান্ডুবর্ণ এক পুত্র, তার নাম রাখা হল পান্ডু। সত্যবতীর আদেশে রানীমাতাদের দাসীর সঙ্গে ব্যাসদেবের মিলনে এক দিব্যসন্তান জন্মগ্রহণ করল। তার নাম বিদুর। ভীষ্ম তিনটি বালককেই পরম যত্নে লালন-পালন করতে লাগলেন। উত্তরকালে ধৃতরাষ্ট্র দেশের সব রাজপুত্রদের মধ্যে বলশালী বলে পরিগণিত হলেন; পান্ডু হয়ে উঠলেন যুদ্ধ ও ধনুর্বিদ্যায় অত্যন্ত কৃতবিদ্য আর বিদুর সমস্ত বিদ্যা, রাজনীতি ও রাষ্ট্রপরিচালানার পাঠ নিলেন।
রাজপুত্ররা বড় হয়ে ঊঠলে হস্তিনাপুরের শূন্য সিংহাসন পূর্ণ করার সময় এসে গেল। জন্মান্ধ বলে জ্যেষ্ঠ ধৃতরাষ্ট্রের বদলে কনিষ্ঠ পান্ডু রাজা হলেন। ভীষ্ম গান্ধার রাজকন্যা গান্ধারীর সঙ্গে ধৃতরাষ্ট্রের এবং কুন্তী ও মাদ্রীর সঙ্গে পান্ডুর বিবাহ দিলেন। পান্ডু আশেপাশের অনেক রাজ্য জয় করে কুরুরাজ্যের পরিধি বহুগুণে বর্ধিত করলেন এবং প্রভূত ধনসম্পদের অধিকারী হলেন। ক্রমে কুরুরাজ্য সমৃদ্ধশালী হয়ে ঊঠল। এ-সময় রাজ্যপরিচালনার দায়িত্ব জ্যেষ্ঠভ্রাতার ওপর অর্পণ করে পান্ডু তাঁর দুই পত্নীকে নিয়ে বানপ্রস্থে গেলেন।
কৌরব ও পান্ডুবেরা
কয়েকবছর পর কুন্তী পাঁচটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক এবং পান্ডু ও মাদ্রীর মরদেহ নিয়ে হস্তিনাপুরে ফিরে এলেন। পাঁচটি বালক পান্ডুর পুত্র- এরা কুন্তী ও মাদ্রীর গর্ভে নিয়োগপ্রথায় জন্মগ্রহণ করেছেন। জ্যেষ্ঠ যুধিষ্টির জন্মেছেন ধর্মের ঔরসে; দ্বিতীয় ভীম জন্মেছেন বায়ুর ঔরসে এবং তৃতীয় অর্জুন জন্মেছেন ইন্দ্রের ঔরসে- এঁদের মাতা কুন্তী। কনিষ্ঠ দু’টি জমজ- নকুল ও সহদেব- এঁরা জন্মেছেন অশ্বিনীভ্রাতৃদ্বয়ের ঔরসে মাদ্রীর গর্ভে। এদিকে ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর শতপুত্র ও এক কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। কুরুবৃদ্ধরা পান্ডু ও মাদ্রীর পারলৌকিক ক্রিয়াদি সম্পন্ন করলেন এবং ও তাঁর সন্তানদের রাজপুরীতে স্বাগত জানালেন।
একশো পাঁচজন রাজপুত্র প্রথমে কৃপ ও পরে দ্রোণর কাছে বিদ্যা ও অস্ত্রশিক্ষায় পারদর্শী হয়ে উঠলেন। হস্তিনাপুরে দ্রোণর পাঠশালে অন্য কয়েকটি বালকও বিভিন্ন বিদ্যা শিক্ষার জন্য আসত। এদের একজন সূতপুত্র কর্ণ। এই বিদ্যার্জনকালেই ধৃতরাষ্ট্র ও পান্ডুর পুত্রদের মধ্যে বৈরিতা দানা বেঁধে উঠল।
জ্যেষ্ঠকৌরব দুর্যোধন দ্বিতীয়পান্ডব ভীমকে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তৃতীয়পান্ডব অর্জুনের সঙ্গে ধনুর্বিদ্যায় কলহের সুবাদে কর্ণ দুর্যোধনের শিবিরে গিয়ে ভিড়লেন। যথাসময়ে শিক্ষা সমাপ্ত হলে কুরুপ্রবীণেরা তাদের বিদ্যাবত্তা প্রদর্শনের আয়োজন করলেন। প্রদর্শনীর দিন জনসাধারণ রাজপরিবারের দুইপক্ষের মধ্যে বৈরিতার ব্যাপারটা জানতে পারল: দুর্যোধন ও ভীমের গদাযুদ্ধ কদর্য আকার ধারণ করল; অনাহুত কর্ণ অর্জুনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহ্বান জানিয়ে রাজবংশজাত নয় বলে অপমানিত হলেন, সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোধন তাকে একটি রাজ্যদান করে রাজপদে বৃত করলেন। এ-সময় ধৃতরাষ্ট্রের সিংহাসন অধিকার করে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে লাগল। পান্ডু তাঁকে বিশ্বাস করে সিংহাসনের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ধৃতরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠপান্ডব যুধিষ্ঠিরকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করার ঘোষণা দিলেন। তিনিই দৃশ্যত সিংহাসনের উত্তরাধিকারী।
প্রথম নির্বাসন
যুধিষ্ঠির যুবরাজ হওয়ায় এবং প্রজাদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় দুর্যোধন অতিশয় অসূয়াপরবশ হয়ে পড়লেন। তার পিতা কার্যত রাজা, সুতরাং যুবরাজ হওয়ার অধিকার তারই। তিনি পান্ডবদের বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠলেন। তিনি কুন্তী ও তার পুত্রদের শিব-চতুর্দশীর মেলায় পার্শ্ববর্তী একটি শহরে পাঠাবার জন্যে পিতাকে মন্ত্রণা দিলেন। সেখানে তাদের থাকার জন্য একটি প্রসাদের ব্যবস্থা করা হল। পিতৃব্য বিদুরের মাধ্যমে আগেভাগেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে পান্ডবেরা ঐ প্রসাদের তলদেশে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে নিরাপদে পলায়নের ব্যবস্থা করে রাখে। একদিন পান্ডবেরা শহরের লোকদের জন্যে এক বিরাট নৈশভোজের আয়োজন করে। ঐ ভোজে এক বনবাসী নারী ও তার পাঁচপুত্রকে দেখা গেল অঢেল পান-ভোজন করে ঠিকমত দাঁড়াতে পারছে না, ভোজসভা ত্যাগ করা তো দূরের কথা! তারা ঐ কক্ষেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইল। পান্ডবেরা সেইদিন প্রাসাদে আগুন লাগিয়ে দিয়ে নিরাপদে সুড়ঙ্গপথে পলায়ন করে। আগুন নিভলে সবাই সেই নারী ও তার পুত্রদের পোড়া হাড়গোড় দেখে ভাবল কুন্তী ও তাঁর পুত্ররা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। দুর্যোধন ভাবলেন তার ষড়যন্ত্র সফল হয়েছে- এখন তার পৃথিবী পান্ডবমুক্ত।
অর্জুন ও দ্রৌপদী
এদিকে, কুন্তী ও পান্ডবেরা দরিদ্র ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে বনে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। তারা সারাদিন ভিক্ষা করে সন্ধ্যায় যা কিছু পান মাকে এনে দেন। কুন্তী সেই ভিক্ষালব্ধ দ্রব্য রান্না করে দুইভাগ করে একভাগ ভীমকে, অপরভাগ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে ক্ষুণ্নি বৃত্তি নিবারণ করেন। এরকম একদিন এক গ্রামে ভীম দুই রাক্ষস-সহদরকে হত্যা করে এবং তাদের বোন হিড়িম্বাকে বিবাহ করেন। তাদের ঘটোৎকচ নামে এক রাক্ষসপুত্রের জন্ম হয়। সেই সময় তারা একদিন পাঞ্চালরাজকন্যার স্বয়ংবর সভার খবর শুনে পাঞ্চাল দেশে গিয়ে হাজির হলেন। এ স্বয়ংবরকে ঘিরে পাঞ্চালে রীতিমত উৎসব রেগে গেছে। সেখানে গিয়ে তারা যথারীতি মাকে তাদের কুটিরে রেখে ভিক্ষায় বের হলেন। তারা সয়ংবরসভায় পৌছলে রাজা তাদের প্রচুর ভিক্ষাদ্রব্য দিলেন। গোটা ব্যাপারটা দেখার জন্য পাঁচভাই সভাকক্ষে এসে একপাশে বসে রইলেন। রূপে-গুণে অসামান্যা অগ্নিজাতা দ্রৌপদী সভা আলো করে বসে আছেন, নানা দিকের নানা রাজ্য থেকে রাজপুত্ররা এসেছেন তার বরমাল্য পাবার আশায়। স্বয়ংবরের শর্তটি বেশ জটিল: মাটিতে একটি লম্বা দন্ড ঘূর্ণায়মান। তার ওপর একটি মাছ আটকানো। দন্ডটির নিচে একটা জলপাত্র রাখা। রাজকুমারদের সেই জল-দর্পণে তাকিয়ে ধনুকে তীরযোজনা করে সেই মাছের চোখে বেঁধাতে হবে। একজন পাণিপ্রার্থী পাঁচবার লক্ষ্যভেদের সুযোগ পাবেন। এটা নিশ্চিত যে, একমাত্র সুদক্ষ তীরন্দাজ অর্জুন এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারতেন, কিন্তু তিনি তো বারণাবতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন!
একের পর এক রাজা ও রাজপুত্ররা আসছেন, মাছের দিকে তীর নিক্ষেপ করছেন, আর ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে ধনুকে তীরযোজনা করতেই পারছেন না। কৌরবদের সঙ্গে কর্ণও এসেছেন স্বয়ংবরসভায়। কর্ণ ধনুক তুলে নিয়ে টংকার দিলেন, তারপর তীরযোজনা করে লক্ষ্যস্থির করার আগেই দ্রৌপদী সূতপুত্র বলে তাকে বরমাল্যদানে অস্বীকৃতি জানালেন। প্রত্যেক রাজন্য যখন ব্যর্থ, তৃতীয়পান্ডব অর্জুন এগিয়ে এগিয়ে গেলেন ঘূর্ণায়মান দন্ডের দিকে, ধনুক তুলে নিয়ে টংকার দিলেন, তারপর একে একে পাঁচটি তীরই যোজনা করলেন ধনুকে। জলদর্পণে তাকিয়ে মাছের চোখে লক্ষ্যস্থির করে একত্রে ছুঁড়লেন পাঁচটি তীর। অব্যর্থ নিশানা। অর্জুন দ্রৌপদীর বরমাল্য লাভ করলেন।
ব্রাহ্মণ-ছদ্মবেশী পান্ডবেরা পাঁচভাই দ্রৌপদীকে নিয়ে তাদের পর্ণকুটিরে ফিরে কুন্তীকে বললেন, ‘মা মা, দেখ আজ আমরা কী নিয়ে এসেছি।’ কুন্তী বললেন, ‘যা এনেছ, নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নাও।’ তারপর বাইরে বেরিয়ে তার চোখ তো ছানাবড়া! আজকের ভিক্ষাবস্তু যে এক পরমা সুন্দরী কন্যা। তিনি চিত্রার্পিতের ন্যায় দাঁড়িয়ে রইলেন। সকলের সামনে যে কুন্তী এমন কথা বলে ফেলেছেন!
এদিকে সাধারণ এক হতদরিদ্রের হাতে বোনকে তুলে দিয়ে দ্রৌপদীর জমজভ্রাতা ধৃষ্টদ্যুম্ণ যারপরনাই মনক্ষুণ্ন। তিনি পান্ডবদের অনুসরণ করে কুন্তীর কুটিরে এসে উপস্থিত। পান্ডবদের অনুসরণ করে যদুবংশের রাজকুমার কৃষ্ণও তার ভ্রাতা বলরামকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত। এই অজ্ঞাতপরিচয় অসামান্য তীরন্দাজ অর্জুন না হয়ে যান না, এমন ভেবেছিলেন কৃষ্ণ, যদিও কয়েকমাস আগে পান্ডবদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর রটেছিল। এই দুই রাজকুমার পান্ডবদের আত্মীয়, কুন্তী তাদেও পিসীমা, যদিও তাদের সঙ্গে ইতোপূর্বে কখনও দেখাসাক্ষাৎ হয়নি। ঘটনাচক্রে ব্যাসও তখন সেখানে এসে হাজির। পান্ডবদের পর্ণকুটিরে যেন চাঁদের হাট বসেছে। এই অভাবিত মিলনে সকলের চোখে আনন্দাশ্রু দেখা দিল। কুন্তীর কথা রক্ষায় দ্রৌপদী পান্ডবদের অভিন্ন পত্নী হলেন। ভ্রাতা ধৃষ্টদ্যুম্ণ ও পিতা দ্রুপদ এই অপ্রচল ব্যবস্থা মেনে নিলেন, কিন্তু সব কথাবার্তাই তারা ব্যাস ও যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে বললেন।
অনিন্দিতা বসু, প্রাবন্ধিক